অনলাইন ডেস্ক
রংপুরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান টিটোর মুক্তি দাবিতে রংপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সাদ এরশাদের পল্লী নিবাস ঘেরাও করেছে টিটো সমর্থকরা।
এর আগে সাদ এরশাদকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে টিটোকে আটক করে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ার দেন, টিটোকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (২ জুন) রাত ১১টার দিকে দেখা যায়, সাদ এরশাদের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন নেতাকর্মীরা। এ সময় বাসভবনের নিচ তলার চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন তারা।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান জানান, জাপা নেতা টিটোকে আটক নয়; জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানান, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক টিটো দলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাদ এরশাদের বাসভবনে যান। এ সময় সংসদ সদস্য ও এরশাদ পুত্র সাদ এরশাদ এবং তার স্ত্রী বাসার নিচ তলার বৈঠকখানায় বসে ছিলেন। তখন টিটো একটি ডিও লেটারে এমপির স্বাক্ষর নিতে গেলে তার এপিএস প্রিন্স ও অপর একজন টিটোর হাত থেকে ডিও লেটার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে টিটোর সঙ্গে সাদ এরশাদের এপিএস এর হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সাদ এরশাদকে ধাক্কাধাক্কি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে টিটোকে আটক করে তাজ হাট থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পল্লী নিবাস বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে রংপুর সিটি মেয়র ও জাপার রংপুর মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাপা, যুবসংহতি ও ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা এসে পল্লী নিবাসের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন এবং টিটোর মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিটো সমর্থিত জাপা নোতকর্মীরা পল্লী নিবাসের ফটকের সামনে সমাবেশ করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন যুব সংহতির রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি শাহিন হোসেন জাকির, সাধারণ সম্পাদক শান্তি কাদেরিসহ কয়েকজন নেতা।
সাদ এরশাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে তার এপিএস প্রিন্স বলেন, ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমাকে হেয় করার জন্য অপপ্রচার হচ্ছে।